• হোম
  • আমাদের কোম্পানী
  • হজ
  • ওমরাহ
  • গ্যালারি
  • সেবাসমূহ
  • যোগাযোগ
  • এসএমএস
  • Contact Info

    হজ্জ কীভাবে সম্পন্ন করবেন

    হজ্জ পালন করার ধাপসমূহ:
    হজ্জ ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ এবং মুসলিমদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় কর্তব্য। এটি মক্কায় একবার জীবনকালে সম্পাদন করতে হবে, যদি তারা শারীরিকভাবে এবং আর্থিকভাবে সক্ষম হন। এখানে হজ্জ পালন করার প্রক্রিয়া বর্ণনা করা হলো:

     

    ১. হজ্জ্বের ইহরাম (ফরজ)
    হারাম শরিফ বা বাসা থেকে আগের নিয়মে শুধু হজ্জ্বের নিয়তে ইহরাম বেঁধে ৮ জিলহজ্জ জোহরের আগেই মিনায় পৌঁছে যাবেন।

     

    ২.আরাফাতের ময়দানে অবস্থান (ফরজ)
    আরাফাতের ময়দানে অবস্থান হজ্জ্বের অন্যতম ফরজ। ৯ জিলহজ্জ দুপুরের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করুন। এদিন নিজ তাঁবুতে জোহর ও আসরের নামাজ স্ব-স্ব সময়ে আলাদাভাবে আদায় করুন। মাগরিবের নামাজ না পড়ে মুজদালিফার দিকে রওনা হোন।

    ৩. মিনায় অবস্থান (সুন্নত)
    জিলহজ্জ ৮ তারিখ জোহর থেকে ৯ জিলহজ্জ ফজরসহ মোট পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মিনায় আদায় করুন এবং এ সময়ে মিনায় অবস্থান করুন।

     

    ৪. মুজদালিফায় অবস্থান (সুন্নত)
    আরাফায় সূর্যাস্তের পর মুজদালিফায় গিয়ে এশার সময়ে মাগরিব ও এশা এক আজান ও এক ইকামতে একসঙ্গে আদায় করুন। এখানেই রাত যাপন করুন (এটি সুন্নত) এবং ১০ জিলহজ্জ ফজরের নামাজ শেষে সূর্যোদয়ের পর কিছু সময় মুজদালিফায় অবশ্যই অবস্থান করুন (এটি ওয়াজিব)। তবে দুর্বল (অপারগ) ও নারীদের বেলায় এটা অপরিহার্য নয়। রাতে ছোট ছোট ছোলার দানার মতো ৭০টি কঙ্কর সংগ্রহ করুন। মুজদালিফায় কঙ্কর খুব সহজেই পেয়ে যাবেন।

     

    ৫. কঙ্কর নিক্ষেপ (প্রথম দিন)
    ১০ জিলহজ্জ ফজর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত শুধু বড় জামারাকে (বড় শয়তান) সাতটি কঙ্কর নিক্ষেপ করুন (ওয়াজিব)। এ সময়ে সম্ভব না হলে এ রাতের শেষ পর্যন্ত কঙ্কর মারতে পারেন। দুর্বল ও নারীদের জন্য রাতেই কঙ্কর মারা উত্তম ও নিরাপদ। কঙ্কর মারার স্থানে বাংলা ভাষায় গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়; তা মনোযোগ দিয়ে শুনুন এবং মেনে চলুন।

     

    ৬. কোরবানি করা (ওয়াজিব)
    ১০ জিলহজ্জ পাথর নিক্ষেপের পরে কোরবানি সঠিক পন্থায় আদায় করুন। কোরবানির পরেই কেবল হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণে মাথা হলক করুন (ওয়াজিব)।

     

    খেয়াল রাখবেন, কঙ্কর নিক্ষেপ, কোরবানি করা ও চুল কাটার মধ্যে ধারাবাহিকতা রক্ষা করা জরুরি এবং ওয়াজিব। অন্যথায় দম বা কাফফারা দিয়ে হজ্জ্ব শুদ্ধ করতে হবে।

     

    ৭. তাওয়াফে জিয়ারত (ফরজ)
    জিলহজ্জ ১২ তারিখ সূর্যাস্তের আগেই তাওয়াফে জিয়ারত করে নিতে হবে। তা না হলে ১২ জিলহজ্জ পরে তাওয়াফটি করে দম দিতে হবে। তবে নারীরা প্রাকৃতিক কারণে করতে না পারলে পবিত্র হওয়ার পরে করবেন।

     

    ৮. কঙ্কর মারা (ওয়াজিব)
    জিলহজ্জ ১১ ও ১২ তারিখে কঙ্কর মারা (ওয়াজিব)। ১১-১২ জিলহজ্জ দুপুর থেকে সময় শুরু হয়। ভিড় এড়াতে আসরের পর অথবা আপনার সুবিধাজনক সময়ে সাতটি করে কঙ্কর মারবেন। প্রথমে ছোট, মধ্যম, তারপর বড় শয়তানকে। ছোট জামারা থেকে শুরু করে বড় জামারায় শেষ করুন। সম্ভব না হলে শেষরাত পর্যন্ত মারতে পারেন। দুর্বল ও নারীদের জন্য রাতেই নিরাপদ।

     

    ৯. মিনা ত্যাগ
    ১৩ জিলহজ্জ মিনায় না থাকতে চাইলে ১২ জিলহজ্জ সন্ধ্যার আগে অথবা সন্ধ্যার পর ভোর হওয়ার আগে মিনা ত্যাগ করুন। সূর্যাস্তের আগে মিনা ত্যাগ করতেই হবে- এটা ঠিক নয়। তবে সূর্যাস্তের আগে মিনা ত্যাগ করা উত্তম।

     

    ১০. বিদায়ী তাওয়াফ (ওয়াজিব)
    বাংলাদেশ থেকে আগত হজ্জ্বযাত্রীদের হজ্জ্ব শেষে বিদায়ী তাওয়াফ করতে হয় (ওয়াজিব)। তবে হজ্জ্ব শেষে যে কোনো নফল তাওয়াফই বিদায়ী তাওয়াফে পরিণত হয়ে যায়। নারীদের মাসিকের কারণে বিদায়ী তাওয়াফ করতে না পারলে কোনো ক্ষতি নেই; দম বা কাফফারাও দিতে হয় না।

     

     

     

     

    হজ্জ্ব যাত্রীদের সঙ্গে নেওয়ার জন্য অপরিহার্য জিনিসপত্র:

    ১.  এহরামের কাপড় – ২ সেট (২ ১/২ গজের ২ পিছ, ৩ গজের ২ পিছ)
    ২.  কোমর বেল্ট – ১টি
    ৩. গলায় ঝুলানো ব্যাগ- ১ টি
    ৪. পায়জামা, পাঞ্জাবী, গেঞ্জি, লুঙ্গী, টুপি (২ টি করে)
    ৫. গামছা ১ টি, ১টি পাম্প বালিশ
    ৬. ২ ফিতা ওয়ালা সেন্ডেল ২ জোড়া, জুতা রাখার কাপড়ের ব্যাগ ২ টি
    ৭. বিছানার চাদর ১ টি, গায়ের চাদর ১ টি
    ৮. কম্বল রাখার থলে ১ টি
    ৯. মেসওয়াক/ব্রাশ, পেস্ট, টয়লেট পেপার, নেইলকাটার, ছোট কাচি, ব্লেড ৫টি
    ১০. তোয়াফের জন্য সাত দানার পাথরের তসবিহ
    ১১. পাসপোর্ট ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রাখা গলা ঝুলানো ব্যাগ
    ১২. ট্রলিব্যাগ দৈর্ঘ্য ৬৫ সেমি,প্রস্থ ৪৫ সেমি, উচ্চতা ২৫ সেমি, হাতব্যাগ দৈর্ঘ্য ৪৫ সেমি,প্রস্থ ৩৫ সেমি, উচ্চতা ২০ সেমি
    ১৩. মেলামাইনের প্লেট ১টি, গ্লাস ১টি
    ১৪. ডাক্তারী প্রেস্ক্রিপশন সহ প্রয়োজনীয় ঔষধ(৪০ দিনের), চিড়া-গুড় ৫ কেজি
    ১৫. হজ্ব প্রশিক্ষন গাইড বই, মাসনুন দোয়ার বই ইত্যাদি
    ১৬. প্রয়োজনীয় রশি, সরিষার তেল ও লৌশন রাখা
    * মহিলাদের জন্য সালোয়ার-কামিজ, ক্যাপ, কাপড়ের মোজা সহ জুতা, নেকাব সহ বোরকা ইত্যাদি প্রয়োজন মতো