হজ রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়া সাধারণত বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় বা হজ অফিসের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এটি প্রতি বছর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হয়। নিচে ধাপে ধাপে হজ রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়া তুলে ধরা হলো:
১. প্রাথমিক প্রস্তুতি
পাসপোর্ট: আপনার পাসপোর্ট কমপক্ষে হজ মৌসুম শেষ হওয়ার ছয় মাস পর পর্যন্ত বৈধ থাকতে হবে।
ছবি: নির্ধারিত ফরম্যাটে আপনার ছবি প্রস্তুত করুন।
প্রাথমিক ডকুমেন্টস: জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করুন।
২. হজ এজেন্সি নির্বাচন
সরকার অনুমোদিত হজ এজেন্সির তালিকা থেকে একটি এজেন্সি বেছে নিন। এই এজেন্সির মাধ্যমে আপনি হজের সব কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন।
৩. প্যাকেজ নির্বাচন
সরকারিভাবে বা এজেন্সির মাধ্যমে প্রস্তাবিত বিভিন্ন প্যাকেজ থেকে আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী একটি প্যাকেজ নির্বাচন করুন।
প্যাকেজের মধ্যে থাকা সুযোগ-সুবিধাগুলো যাচাই করুন।
৪. প্রাথমিক নিবন্ধন
প্রাথমিক রেজিস্ট্রেশনের জন্য নির্ধারিত ফি জমা দিতে হবে।
সরকারি বা ব্যাংকের নির্ধারিত শাখায় টাকা জমা দিয়ে রসিদ সংগ্রহ করুন।
৫. অনলাইন নিবন্ধন
অনলাইন নিবন্ধনের জন্য হজের নির্ধারিত ওয়েবসাইটে (যেমন: www.hajj.gov.bd) প্রবেশ করুন।
আপনার তথ্য পূরণ করুন, যেমন নাম, ঠিকানা, পাসপোর্ট নম্বর, ইত্যাদি।
ছবি এবং পাসপোর্ট কপি আপলোড করুন।
৬. মেডিকেল পরীক্ষা
সরকার অনুমোদিত স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে মেডিকেল পরীক্ষা করিয়ে স্বাস্থ্য সনদ সংগ্রহ করুন।
ভ্যাকসিনেশন (যেমন: মেনিনজাইটিস এবং ফ্লু ভ্যাকসিন) গ্রহণ করতে হবে।
৭. চূড়ান্ত রেজিস্ট্রেশন
প্রাথমিক নিবন্ধন সম্পন্ন হওয়ার পরে এজেন্সির সহায়তায় চূড়ান্ত নিবন্ধন করুন।
বিমানের টিকিট, ভিসা, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করুন।
৮. প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম
হজ অফিস বা এজেন্সি আয়োজিত প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করুন। এতে হজের নিয়মকানুন এবং প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়।
৯. যাত্রার প্রস্তুতি
নির্ধারিত সময় অনুযায়ী আপনার যাত্রার প্রস্তুতি নিন।
বিমানবন্দরে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস নিয়ে উপস্থিত থাকুন।
নোট: হজ রেজিস্ট্রেশনের সময় এবং প্রক্রিয়া প্রতিবছর কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করা উচিত।